বইটির নাম কামসুত্র। অদ্ভুত এই নামের সাথে খামোশি একটা ভাব আছে। ব্রাক্ষ্মণ পুরোহিতরা নিচু বর্ণের হিন্দুদের সাথে যে যৌনাচার করত সেগুলো জানানোর জন্য একটা বই লিখে, সেই বইটির নাম কামসুত্র। কামসূত্র বইটি একদিনে লেখা হয় নি আর শুধুমাত্র মল্লনাগ বাৎস্যায়ন নামক এক ব্যক্তি এই বইটা লিখেন নি । অনেক জনের হাত দিয়ে অনেক সময় নিয়ে কামসূত্র বইটি লেখা হয়েছে তা বইটি উল্টাইলেই বুঝা যায় । আর কামসূত্র বইটির বিভিন্ন অধ্যায়কে আরও বিশদভাবে ব্যাখ্যা করে তৎকালীন ভারতীয় ব্রাক্ষ্মন পুরাহিতরা বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা করেন ৷ আজও দক্ষিন ভারতের অনেক মন্দিরের গায়ে উলঙ্গ নারী-পুরুষের কাম কলাগুলি প্রস্তর চিত্রের মাধ্যমে ফুটে আছে ৷
[ তথ্যসূত্র: প্রাচীন ভারতের ইতিহাস, অতুল চন্দ্র রায়, নিঊ সেন্ট্রাল বুক এজেন্সি, ৮/১ চিন্তামণি দাস লেন, কল্কাতা-৭০০০৯ ৷ সংগ্রহে: গোলাম আহমেদ মোর্তজা, বজ্র কলম]
ভারতবর্ষে ইসলাম আসার পূর্বে নিম্নবর্ণের হিন্দু মেয়েরা বিয়ের আগে মন্দিরে সেবাদাসী হিসাবে কাজ করতে হতো । মন্দির ধোয়া মোছা থেকে শুরু করে মন্দিরের ব্রাক্ষ্মন পুরাহিতদের শয্যাসঙ্গী হওয়া এরকম প্রায় সব কাজই তাদের করতে হত । তো এই ব্রাক্ষ্মণ পুরাহিতরা এই নিম্নবর্ণের হিন্দু মেয়েদের সাথে প্রতিদিন উপুর্যপুরি অবাধ যৌনাচার করতো । এই মেয়েরা কিন্তু ব্রাক্ষ্মনদের কেনা দাসী ছিল না, তারা শুধু তাদের বিয়ের আগের সময়টা এই মন্দিরে কাজ করতো সেবা দাসী হয়ে । বিয়ের পর এই নিম্ন বর্ণের হিন্দু মেয়েরা আর মন্দিরে যেত না ।
ভারত বর্ষে ইসলাম আসার কারনেই ব্রাক্ষ্মণদের অবাধ যৌনাচার বন্ধ হয়ে গেছে ৷ অনেক বড় বড় হিন্দু ঐতিহাসিক ব্রাক্ষ্মণদের লালসার হাত থেকে নিম্ন বর্ণের হিন্দু মেয়েদের কে বাঁচানোর জন্য মুসলিম শাসকদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন ৷ বর্তমান সময়েও মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে হিন্দুরা যতটা নিরাপদ আছে খোদ ভারতেও তারা ততটা নিরাপদ নেই ৷ এখনো ভারতের বিভিন্ন স্থানে নিম্ম বর্ণের হিন্দুদের নির্যাতন, ধর্ষণ, উলঙ্গ করে রাস্তায় ঘোরানোর মত সংবাদ মিডিয়াতে আসে ৷
কয়েক’শ বছর আগে ব্রাহ্মণ সেন রাজাদের ও তাদের সহযোগী কুলীন ব্রাহ্মণদের অত্যাচারে আর নিপীড়নে অতিষ্ঠ সাধারণ হিন্দুরা ও বৌদ্ধরা দলে দলে ইসলাম গ্রহন করে।
হিন্দুদের প্রাচীন যেসব মূর্তি পাওয়া যায় বিভিন্ন জাদুঘরে তা দেখেই বুঝা যায়, অতীতে তারা কতোটা বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত ছিলো। এসব থেকে বুঝ সম্পন্ন অনেক মানুষই ফিরে এসেছে যুগে যুগে।
তাদের দেব দেবীকে নিয়ে এমন নোংরা কিছু কাহিনী তারা রচনা করেছে, যা পুরোই ১৮+
পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম ৩৫% কিন্তু সরকারি চাকরি তে ২% মুসলিম, আর বাংলাদেশে হিন্দু মাত্র ৮% হয়েও সরকারি চাকরি তে ৩৫% হিন্দু ৷ অথচ প্রিয়া সাহার অভিযোগ বাংলাদেশে নাকি হিন্দুদের উপর ভীষণ নির্যাতন করা হচ্ছে ৷
১। ৩৭ মিলিয়ন অর্থাৎ ৩ কোটি ৭০ লক্ষ হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান গুম হয়ে গেছে..
২। বাংলাদেশের মুসলিম মৌলবাদীরা নাকি তার জায়গাজমি দখল ও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করা হচ্ছে!
ওই মহিলার কথা কি আসলে সত্য?
এই ধরনের অভিযোগ নতুন কিছু না। এর আগেও এরকম অনেক অভিযোগ কানে আসছে। কেউ বিশ্বাস করেছে, আবার কেউ করেনি। প্রিয়া সাহার মত এই দেশে অসংখ্য হিন্দু, বৌদ্ধ, নাস্তিক এমনকি মুসলিম আছে যারা পেইড এজেন্ট হিসেবে এই বঙে জন্মে, এখানে খেয়ে দেয়ে বড় হয়ে অন্য দেশের দালালি করছে।
বিশেষ করে পিষুষ ও রানা দাশগুপ্ত।
২০১৬ সালের ১২ জুন প্রেস ট্রাষ্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) সূত্রে ভারতের দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় বলা হয়, বাংলাদেশের হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বাংলাদেশে হিন্দুদের রক্ষায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।(দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের নিউজের লিংক - https://indianexpress.com/article/world/world-news/hindu-bangladeshi-wants-modis-intervention-for-safety-2848316/)
২০১৬ সালের ১১ নভেম্বর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ চেয়ে নিউইয়র্কে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশের হিন্দুরা। (বাংলা ট্রিবিউনের নিউজের লিংক- http://banglatribune.com/national/news/160889)
তবে এবারে টা সরাসরি ভিডিও থাকায় পাবলিক বেশি সেন্টি খেয়েছে। ভিডিও না থাকলে হয়ত এটাকে হিন্দুদের তাড়ানোর চক্রান্ত হিসেবে অনেকে উপস্থাপন করত।
প্রশ্ন হচ্ছে
প্রিয়া সাহা রাষ্ট্রদ্রোহী হলে একই অপরাধ করে রানা-পীযুষরা কেন রাষ্ট্রদ্রোহী নয়?
গুমের হিসাব করলে দেখা যাবে গত ১০ বছরে অন্যান্য ধর্মের থেকে মুসলিমরাই গুম হয়েছে বেশি। পলিটিকাল ব্যাপারগুলাকে ধর্মের তকমা লাগানো মারাত্মক ছোটোলকি। যাই হোক, প্রিয়া সাহার ছোটলোকি বক্তব্যে পুরো দেশে হিন্দু মুসলিম নিয়া মারামারি করার কোন মানেই হয়না। একজন প্রবাসী প্রিয়া সাহা কি বলে তাতে আমার কিছু যায় আসেনা, তবে আমার দেশের হিন্দুরা কি বলে এবং কেমন আছে সেটা আমার চিন্তার বিষয়। আর তাদের ভালো থাকার এবং ভালো বলার দায়ভারটা আমাদেরকেই নিতে হবে। সব হিন্দুরা খারাপ না। এক হিন্দু ভাইয়ের বক্তব্য এর লিংক দিলামঃ
https://www.facebook.com/100005824717755/posts/1098673887003425/
কেউ কেউ যেমন প্রিয়া সাহার বক্তব্যে ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে দাঙ্গা হাঙ্গামার চেষ্টা করছে আবার কিছু ভাইকে দেখলাম প্রিয়া সাহার পক্ষে সাফাই গাইতে।
ভ্রমণের সুত্র ধরে আমি দক্ষিণবঙ্গ (খুলনা, নড়াইল বা উত্তরের বেশ কিছু হিন্দু জমিদার বা পরিবারের কথা জানি যারা পাকিস্তান শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে ৷
ব্রোকেন ড্রিমে সিনহা বাবু তৎকালীন হিন্দুদের জমি দখলে তালিকায় উপরের দিকে রেখেছেন আওয়ামী লীগ দলকে।
১। আওয়ামীলীগ ৪৪.২%
২। বিএনপি ৩১.৭%
৩। জাতীয় পার্টি ৫.৮%
৪। জামাত ই ইসলামি ৪.৮%
৫। অন্যান্য ১৩.৫ %
ibid ( Loc 4182 of 11560)
সিনহা বাবুর তথ্যমতে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি হিন্দুদের প্রপার্টি দখল করেছে, কিন্তু গতকাল দেখলাম প্রিয়া সাহা বলছে বাংলাদেশের ইসলামিস্টরা জোর করে তাদের প্রপার্টি দখল নিচ্ছে।
আবার চট্টগ্রাম খাতুনগঞ্জের বেশ কিছু প্রভাবশালী হিন্দু ব্যবসায়ীকে চিনি যারা ডিও এর নামে কোটি কোটি টাকা নিয়ে ভারতে পালিয়ে আছে। হাজারী লেইনের বেশকিছু স্বর্ণকার কে চিনি যারা মানুষের স্বর্ণ ও টাকা মেরে ভারতে পালিয়ে গেছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক এক মহাসচিবের কথা জানি, বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণীর নাগরিক হওয়ার পরেও তার ভারত, বাংলাদেশ উভয় দেশের নাগরিকত্ব আছে ৷ কয়েকজন ব্যাংকার, ব্যবসায়ীর কথা জানি, যাদের দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন থাকলেও তাদের আত্মীয় স্বজন সব ভারতে ৷ কয়েকজনের কথা জানি, যারা প্রতারণার মাধ্যমে একই জায়গা তিন চার জনের কাছে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে ৷
নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, হয় উন্নত জীবনের খোঁজে, না হয় অপকর্ম করেই অধিকাংশ হিন্দু বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যায় ৷
এ পর্যন্ত যতটুকু জেনেছি ট্রাম্পের নিকট অভিযোগ কারী হিন্দু মহিলার নাম প্রিয়া সাহা।
ফেসবুক আই ডি লিংকঃ https://www.facebook.com/bangladeshmohilaoikya.parishad
স্বামী মলয় সাহা, দুদক কর্মকর্তা। ফেসবুক আইডি লিংকঃ
https://www.facebook.com/malay.saha.7
গ্রামের বাড়ি চরবানিরী, মাটিভাঙ্গা, নাজিরপুর, পিরোজপুর।
প্রিয়া সাহা ঐক্য পরিষদ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়ন করতেন, রোকেয়া হলে থাকতেন। এখন একটি এনজিও আছে ওনার। বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য গতবছর তাকে মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়, বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার নাটক করে প্রচুর বিদেশি ফান্ড কালেক্ট করেন তিনি।
প্রিয়া সাহার ব্যাকগ্রাউন্ড ভাল, স্বামী দুদকের কর্মকর্তা ৷ এ ধরনের নাগরিকরা বাংলাদেশেই বিলাস বহুল জীবন যাপন করে থাকেন ৷ সুতরাং তার দেশ ছেড়ে যাওয়ার পিছনে কোন না কোন অপকর্ম জড়িত থাকতে পারে ৷ হতে পারে বাংলাদেশে ব্রাক্ষ্মণ পুরোহিতদের দৌরাত্ম্য নেই বলে তিনি সেবাদাসী হিসেবে নিজেকে উৎসর্গ করতে পারছেন না তাই ট্রাম্পের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে চাইছেন, নতুবা তার স্বামী বিশাল কোন অর্থ কেলেংকারীর সাথে জড়িত ৷ সরকারের উচিত অচিরেই জাতির সামনে এই মহিলার মুখোশ উম্মোচন করা ৷