সোমবার, ২২ জুলাই, ২০১৯

গুজব গ্রেনেড এর ছেয়ে বেশি ভয়ংকর, গুজব থেকে দূরে থাকুন।

১৭৫০ সালে  হঠাৎ করে প্যারিসের রাস্তা থেকে পথ শিশুরা উধাও হয়ে যেতে থাকে। কেউ বলতে পারছিল না কী কারণে এ রকম হচ্ছে!   এরকম এক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে যখন সবাই বিশেষ করে শিশুদের অভিভাবকেরা ভীষণ উদ্বিগ্ন; চারিদিকে রটে যায় যে, সম্রাট লুই (পঞ্চদশ) কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত। এ রোগ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় শিশুদের রক্তে স্নান করা। আর  সে কারণে রাজার লোকেরা শিশুদের অপহরণ করছে। গুজবটি মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে যায়।  বিক্ষুব্ধ জনসাধারণ প্রতিবাদে নেমে আসে রাজপথে, যার ফলে প্যারিসে সংঘটিত হয় ব্যাপক দাঙ্গা।

সত্যটা হচ্ছে, কর্তৃপক্ষ রাজপথ থেকে অবাঞ্চিতদের অপসারণের নির্দেশ দেয়। কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর জন্য পুলিশ বাহিনীকে গ্রেপ্তার প্রতি অর্থ দেয়া হতো!  যত বেশি গ্রেপ্তার তত টাকা! অতিউৎসাহী পুলিশ সদস্যরা গণহারে (শিশুসহ) গ্রেপ্তার শুরু করে এবং তাদের কারাগারে পাঠাতে থাকে। পরবর্তীতে দেখা যায়, এ সব অপহৃত শিশুদের সকলেই ফিরে এসেছিলো।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে গুজব গ্রেনেড এর ছেয়ে ক্ষতিকারক।
গ্রেনেড একটা নির্দিষ্ট জায়গায় বিস্ফোরিত হয়, শাখা প্রশাখা বিস্তার করতে পারে না। আর গুজব
ভীষণ অপ্রতিরোধ্য! এর গতিবেগ আলোর গতির চাইতে দ্রুত।

মার্ক টোয়েন বলেন
সত্য তার জুতোর ফিতে বাঁধতে বাঁধতে গুজব বা মিথ্যা সমস্ত পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে আসতে সক্ষম।’

তাই যে কোন খবর প্রচার করার আগে সেটা নিয়ে ভাল করে যাচাই বাছাই করা উচিত।  সেটার সোর্স সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

ওমর রা. তায়ালা আনহু বলেছিলেন, কোনো ব্যক্তি মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তাই নির্বিচারে বলে বেড়ায়।

অতি উৎসাহী হয়ে যারা গণপিটুনি দিচ্ছে তাদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনা উচিত।  সম্প্রতি যেই ঘটনাগুলো ঘটেছে সব ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আছে।  ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করা খুব সহজ।

ব্যক্তিগত, পারিবারিক, ধর্মীয় কিংবা রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে গুজব ছড়ানো হয়। তবে সবছেয়ে বেশি গুজব চলে রাজনীতিতে।

বর্তামানে ছেলে ধরা গুজবের এমন অবস্থা কে কাকে মারতেছে, কেন মার খাচ্ছে কেউ কিছুই জানে না।  সবছেয়ে বড় কথা হল, গণপিটুনি চলা অবস্থায় কাউকে থামানো যায় না, কেউ ভিকটিমের পক্ষে কথা বলতে চাইলে সে নিজে গণপিটা খাওয়ার সম্ভাবনা। কারণ সবাই এত উত্তেজিত থাকে সব একই গ্রুপ বলে পিটা যে দিবে না তার কোন গ্যারান্টি নেই।

পরিশেষে বর্তমান ঘটনাগুলোর সাথে নিচের হাদিসের অনেক মিল পাচ্ছি
"এমন এক সময় আসবে, যখন হত্যাকারী জানবে না কেন সে হত্যা করছে, আর নিহত ব্যাক্তিও জানবে না কেন সে নিহত হল।"  - সহীহ্ মুসলিম ৬৯৪৯ ৷

কিছু সাজেশন মেনে চলুনঃ

১। কিছুদিন অপরিচিত এলাকায় যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
২। অপরিচিত এলাকায় গেলে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে এদিক-সেদিক উদভ্রান্তের মতো তাকানো থেকে বিরত থাকুন।
৩। কাউকে খুঁজতে গেলে তার সাথে পূর্বেই যোগাযোগ করে নিন, সারপ্রাইজ দিতে কিংবা কোন কারণেই না জানিয়ে যাবেন না।
৪। নিজের বাচ্চাকে তার মাকে ছাড়া কোথাও নিয়ে যাবেন না। বিশেষ করে যেসব বাচ্চারা ছিচ কাদুনে এবং খালি বায়না ধরে তাদের নিয়ে কয়েকটা দিনের জন্য একা একা দূরত্বে বের হবেন না।
৫। অনেকের বাচ্চা দেখলে আদর করতে ইচ্ছে করে আবার কেউ কেউ অপরিচিত দেখতে কিউট ছোট বাচ্চাদের আদর করে কিছু কিনে দেয়।  দয়া করে এসব ইচ্ছে নিজের ভিতরে রাখুন।
৬। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে থতমত খাবেন না, কনফিডেন্ট/সহজভাবে উত্তর দিন। ভাব নিতে যাবেন না।
৭। পথে-ঘাটে কারো সাথে উটকো ঝামেলায় জড়াবেন না।
৮। এ ধরণের ঘটনা দেখলে নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে পুলিশকে জানান।
৯। গণপিটুনি দেখলে তৎক্ষনাৎ ৯৯৯ এ ফোন দিন।
১০। যদি আপনি কোনও এলাকায় নতুন হোন (আপনাকে যদি কেউ না চিনে থাকে), তাহলে কর্মক্ষেত্র থেকে সরাসরি বাসায় চলে আসুন।
১১। যদি চাকুরীজীবী হন, তবে প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড সাথে রাখুন, প্রয়োজনে অপরিচিত এলাকায় গেলে গলায় ঝুলিয়ে রাখুন।
১২। সর্বোপরি, এ অবস্থার দ্রুতই অবসান হবে আশা করি। তাই আতঙ্কিত হবেন না।
১৩। সচেতনতা তৈরিতে সহয়তা করুন।

রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯

প্রিয়া সাহারা বাংলাদেশের কাছে কি চাই?

বইটির নাম কামসুত্র।  অদ্ভুত এই নামের সাথে খামোশি একটা ভাব আছে। ব্রাক্ষ্মণ পুরোহিতরা নিচু বর্ণের হিন্দুদের সাথে যে যৌনাচার করত সেগুলো জানানোর জন্য একটা বই লিখে,  সেই বইটির নাম কামসুত্র। কামসূত্র বইটি একদিনে লেখা হয় নি আর শুধুমাত্র মল্লনাগ বাৎস্যায়ন নামক এক ব্যক্তি এই বইটা লিখেন নি । অনেক জনের হাত দিয়ে অনেক সময় নিয়ে কামসূত্র বইটি লেখা হয়েছে তা বইটি উল্টাইলেই বুঝা যায় । আর কামসূত্র বইটির বিভিন্ন অধ্যায়কে আরও বিশদভাবে ব্যাখ্যা করে তৎকালীন ভারতীয় ব্রাক্ষ্মন পুরাহিতরা  বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা করেন ৷ আজও দক্ষিন ভারতের অনেক মন্দিরের গায়ে উলঙ্গ নারী-পুরুষের কাম কলাগুলি প্রস্তর চিত্রের মাধ্যমে ফুটে আছে ৷

[ তথ্যসূত্র: প্রাচীন ভারতের ইতিহাস, অতুল চন্দ্র রায়, নিঊ সেন্ট্রাল বুক এজেন্সি, ৮/১ চিন্তামণি দাস লেন, কল্কাতা-৭০০০৯ ৷ সংগ্রহে: গোলাম আহমেদ মোর্তজা, বজ্র কলম]

ভারতবর্ষে ইসলাম আসার পূর্বে নিম্নবর্ণের হিন্দু মেয়েরা বিয়ের আগে মন্দিরে সেবাদাসী হিসাবে কাজ করতে হতো । মন্দির ধোয়া মোছা থেকে শুরু করে মন্দিরের ব্রাক্ষ্মন পুরাহিতদের শয্যাসঙ্গী হওয়া এরকম প্রায় সব কাজই তাদের করতে হত । তো এই ব্রাক্ষ্মণ পুরাহিতরা এই নিম্নবর্ণের হিন্দু মেয়েদের সাথে প্রতিদিন উপুর্যপুরি অবাধ যৌনাচার করতো । এই মেয়েরা কিন্তু ব্রাক্ষ্মনদের কেনা দাসী ছিল না, তারা শুধু তাদের বিয়ের আগের সময়টা এই মন্দিরে কাজ করতো সেবা দাসী হয়ে । বিয়ের পর এই নিম্ন বর্ণের হিন্দু মেয়েরা আর মন্দিরে যেত না ।

ভারত বর্ষে ইসলাম আসার কারনেই ব্রাক্ষ্মণদের অবাধ যৌনাচার বন্ধ হয়ে গেছে ৷ অনেক বড় বড় হিন্দু ঐতিহাসিক ব্রাক্ষ্মণদের লালসার হাত থেকে নিম্ন বর্ণের হিন্দু মেয়েদের কে বাঁচানোর জন্য মুসলিম শাসকদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন ৷ বর্তমান সময়েও মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে হিন্দুরা যতটা নিরাপদ আছে খোদ ভারতেও তারা ততটা নিরাপদ নেই ৷ এখনো ভারতের বিভিন্ন স্থানে নিম্ম বর্ণের হিন্দুদের নির্যাতন, ধর্ষণ, উলঙ্গ করে রাস্তায় ঘোরানোর মত সংবাদ মিডিয়াতে আসে ৷

কয়েক’শ বছর আগে ব্রাহ্মণ সেন রাজাদের ও তাদের সহযোগী কুলীন ব্রাহ্মণদের অত্যাচারে আর নিপীড়নে অতিষ্ঠ সাধারণ হিন্দুরা ও বৌদ্ধরা দলে দলে ইসলাম গ্রহন করে। 

হিন্দুদের প্রাচীন যেসব মূর্তি পাওয়া যায় বিভিন্ন জাদুঘরে তা দেখেই বুঝা যায়, অতীতে তারা কতোটা বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত ছিলো। এসব থেকে বুঝ সম্পন্ন অনেক মানুষই ফিরে এসেছে যুগে যুগে।

তাদের দেব দেবীকে নিয়ে এমন নোংরা কিছু কাহিনী তারা রচনা করেছে, যা পুরোই ১৮+

পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম ৩৫% কিন্তু সরকারি চাকরি তে ২% মুসলিম, আর বাংলাদেশে হিন্দু মাত্র ৮% হয়েও সরকারি চাকরি তে ৩৫% হিন্দু ৷ অথচ প্রিয়া সাহার অভিযোগ বাংলাদেশে নাকি হিন্দুদের উপর ভীষণ নির্যাতন করা হচ্ছে ৷

১। ৩৭ মিলিয়ন অর্থাৎ ৩ কোটি ৭০ লক্ষ হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান গুম হয়ে গেছে..
২। বাংলাদেশের মুসলিম মৌলবাদীরা নাকি তার জায়গাজমি দখল ও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করা হচ্ছে!

ওই মহিলার কথা কি আসলে সত্য?

এই ধরনের অভিযোগ নতুন কিছু না।  এর আগেও এরকম অনেক অভিযোগ কানে আসছে।  কেউ বিশ্বাস করেছে, আবার কেউ করেনি। প্রিয়া সাহার মত এই দেশে অসংখ্য হিন্দু, বৌদ্ধ, নাস্তিক এমনকি মুসলিম আছে যারা পেইড এজেন্ট হিসেবে এই বঙে জন্মে, এখানে খেয়ে দেয়ে বড় হয়ে অন্য দেশের দালালি করছে।

বিশেষ করে পিষুষ ও রানা দাশগুপ্ত।

২০১৬ সালের ১২ জুন প্রেস ট্রাষ্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) সূত্রে ভারতের দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় বলা হয়, বাংলাদেশের হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বাংলাদেশে হিন্দুদের রক্ষায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।(দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের নিউজের লিংক - https://indianexpress.com/article/world/world-news/hindu-bangladeshi-wants-modis-intervention-for-safety-2848316/)

২০১৬ সালের ১১ নভেম্বর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ চেয়ে নিউইয়র্কে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশের হিন্দুরা। (বাংলা ট্রিবিউনের নিউজের লিংক- http://banglatribune.com/national/news/160889)

তবে এবারে টা সরাসরি ভিডিও থাকায় পাবলিক বেশি সেন্টি খেয়েছে। ভিডিও না থাকলে হয়ত এটাকে হিন্দুদের তাড়ানোর চক্রান্ত হিসেবে অনেকে উপস্থাপন করত।

প্রশ্ন হচ্ছে
প্রিয়া সাহা রাষ্ট্রদ্রোহী হলে একই অপরাধ করে রানা-পীযুষরা কেন রাষ্ট্রদ্রোহী নয়?

গুমের হিসাব করলে দেখা যাবে গত ১০ বছরে অন্যান্য ধর্মের থেকে মুসলিমরাই গুম হয়েছে বেশি। পলিটিকাল ব্যাপারগুলাকে ধর্মের তকমা লাগানো মারাত্মক ছোটোলকি। যাই হোক, প্রিয়া সাহার ছোটলোকি বক্তব্যে পুরো দেশে হিন্দু মুসলিম নিয়া মারামারি করার কোন মানেই হয়না। একজন প্রবাসী প্রিয়া সাহা কি বলে তাতে আমার কিছু যায় আসেনা, তবে আমার দেশের হিন্দুরা কি বলে এবং কেমন আছে সেটা আমার চিন্তার বিষয়। আর তাদের ভালো থাকার এবং ভালো বলার দায়ভারটা আমাদেরকেই নিতে হবে। সব হিন্দুরা খারাপ না।  এক হিন্দু ভাইয়ের বক্তব্য এর লিংক দিলামঃ
https://www.facebook.com/100005824717755/posts/1098673887003425/

কেউ কেউ যেমন প্রিয়া সাহার বক্তব্যে ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে দাঙ্গা হাঙ্গামার চেষ্টা করছে আবার কিছু ভাইকে দেখলাম প্রিয়া সাহার পক্ষে সাফাই গাইতে।
ভ্রমণের সুত্র ধরে আমি দক্ষিণবঙ্গ (খুলনা, নড়াইল বা উত্তরের বেশ কিছু হিন্দু জমিদার বা পরিবারের কথা জানি যারা পাকিস্তান শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে ৷

ব্রোকেন ড্রিমে সিনহা বাবু  তৎকালীন হিন্দুদের জমি দখলে তালিকায় উপরের দিকে রেখেছেন আওয়ামী লীগ দলকে।

১। আওয়ামীলীগ ৪৪.২%
২। বিএনপি ৩১.৭%
৩। জাতীয় পার্টি ৫.৮%
৪। জামাত ই ইসলামি ৪.৮%
৫। অন্যান্য ১৩.৫ %

ibid ( Loc 4182 of 11560)
 
সিনহা বাবুর তথ্যমতে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি হিন্দুদের প্রপার্টি দখল করেছে, কিন্তু গতকাল দেখলাম প্রিয়া সাহা বলছে  বাংলাদেশের ইসলামিস্টরা জোর করে তাদের প্রপার্টি দখল নিচ্ছে।

আবার চট্টগ্রাম খাতুনগঞ্জের বেশ কিছু প্রভাবশালী হিন্দু ব্যবসায়ীকে চিনি যারা ডিও এর নামে কোটি কোটি টাকা নিয়ে ভারতে পালিয়ে আছে। হাজারী লেইনের বেশকিছু স্বর্ণকার কে চিনি যারা মানুষের স্বর্ণ ও টাকা মেরে ভারতে পালিয়ে গেছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক এক মহাসচিবের কথা জানি, বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণীর নাগরিক হওয়ার পরেও তার ভারত, বাংলাদেশ উভয় দেশের নাগরিকত্ব আছে ৷ কয়েকজন ব্যাংকার, ব্যবসায়ীর কথা জানি, যাদের দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন থাকলেও তাদের আত্মীয় স্বজন সব ভারতে ৷ কয়েকজনের কথা জানি, যারা প্রতারণার মাধ্যমে একই জায়গা তিন চার জনের কাছে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে ৷

নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, হয় উন্নত জীবনের খোঁজে, না হয় অপকর্ম করেই অধিকাংশ হিন্দু বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যায় ৷

এ পর্যন্ত যতটুকু জেনেছি ট্রাম্পের নিকট অভিযোগ কারী হিন্দু মহিলার নাম প্রিয়া সাহা।

ফেসবুক আই ডি লিংকঃ https://www.facebook.com/bangladeshmohilaoikya.parishad

স্বামী মলয় সাহা,  দুদক কর্মকর্তা।  ফেসবুক আইডি লিংকঃ
https://www.facebook.com/malay.saha.7

গ্রামের বাড়ি চরবানিরী, মাটিভাঙ্গা, নাজিরপুর, পিরোজপুর।

প্রিয়া সাহা ঐক্য পরিষদ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়ন করতেন, রোকেয়া হলে থাকতেন। এখন একটি এনজিও আছে ওনার। বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য গতবছর তাকে মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়, বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার নাটক করে প্রচুর বিদেশি ফান্ড কালেক্ট করেন তিনি।

প্রিয়া সাহার ব্যাকগ্রাউন্ড ভাল, স্বামী দুদকের কর্মকর্তা ৷ এ ধরনের নাগরিকরা বাংলাদেশেই বিলাস বহুল জীবন যাপন করে থাকেন ৷ সুতরাং তার দেশ ছেড়ে যাওয়ার পিছনে কোন না কোন অপকর্ম জড়িত থাকতে পারে ৷ হতে পারে বাংলাদেশে ব্রাক্ষ্মণ পুরোহিতদের দৌরাত্ম্য নেই বলে তিনি সেবাদাসী হিসেবে নিজেকে উৎসর্গ করতে পারছেন না তাই ট্রাম্পের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে চাইছেন, নতুবা তার স্বামী বিশাল কোন অর্থ কেলেংকারীর সাথে জড়িত ৷ সরকারের উচিত অচিরেই জাতির সামনে এই মহিলার মুখোশ উম্মোচন করা ৷

শনিবার, ২৯ জুন, ২০১৯

এই দেশের মানুষ ডাবল স্ট্যান্ডার্ড

"সৌদিতে ফাঁসি দেয়া হবে তিন ইসলামি চিন্তাবিদের"
ভুল না করলে প্রথম এই খবরটি ছড়িয়েছে—মিডেল ইস্ট আই
✔ https://www.middleeasteye.net/news/exclusive-saudi-arabia-execute-three-prominent-moderate-scholars-after-ramadan
.
আজকে আন্তর্জাতিক কিছু গণমাধ্যমে খবরটি এসেছে এভাবে "তিনজন মডারেট ইসলামিক স্কলারকে ফাঁসি দিতে চলেছে সৌদি" ৷
✔ https://www.independent.co.uk/news/world/middle-east/saudi-arabia-execution-ramadan-scholars-terror-charge-human-rights-a8925606.html
✔ https://www.sbs.com.au/news/three-moderate-muslim-scholars-facing-execution-by-saudi-government
.
তারা কেমন মডারেট? সেই মিডেল ইস্ট আইতেই একটা খবর পেলাম তিন বছর আগের ৷ যেখানে তিন জনের একজন অর্থাৎ সালমান আল আওদা বলেছেন—
.
Dr Salman al-Ouda said that while homosexuality was a sin, the punishment should come from God rather than governments.
.
তার মূল বক্তব্য হল সমকামীদের দুনিয়াতে কোন শাস্তি দেয় উচিত নয় ৷ তাদের শাস্তি হবে পরকালে ৷
.
✔ https://www.middleeasteye.net/news/senior-saudi-cleric-homosexuality-should-not-be-punished
.
আমার বক্তব্য হল ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে ৷ আদৌ সালমান আল আওদা এ ধরনের কোনো বক্তব্য দিয়েছেন কিনা সে ব্যাপারে আমি সন্দিহান ৷ যেহেতু মিডেল ইস্ট আই বা মনিটর কোন নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যম নয় ৷ কিন্তু এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলা যায় যে "সমকামীকে শাস্তি দেয়া উচিত নয়" একজন সৌদি আলেমের এমন বক্তব্য শুনে একদল তখন পুরো সৌদি আলেম সমাজকেই গালিগালাজ করেছিল ৷ কিন্তু আজ যখন সেই সৌদি আলেমের শাস্তির গুঞ্জন উঠেছে তখন আমরা তার পক্ষেই কথা বলছি ৷ বলছি তিনি মজলুম ৷
আমাদের অবস্থান আসলে কি?

শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০১৯

🚩#কে_বা_কারা_জেরুজালেম_বিক্রি_করছে❓❓

🖋  মি. এরদোগান,তুর্কিশ প্রেসিডেন্ট, মিডিয়ার মাধ্যমে প্রায় প্রতিদিনই পৃথিবীর সাথে কথা বলেন। তার অদম্য বক্তব্যের একটা বড় অংশ সবসময়েই সৌদি অারবের বীরুদ্ধে। মরোক্কান ব্রাদারহুড সরকার এবং মিডিয়া ২৪ ঘন্টা এসব নিউজকে অনলাইন করে সাপোর্ট করছে। একি কাজে ব্যস্ত ইরানি ও কাতারি সরকার ও মিডিয়া।

অামি নিশ্চিত যেকোনো ধরনের যৌক্তিক প্রমান তাদের এসব বক্তব্যকে পরিবর্তন করতে পারবেনা। অামি অনেক অাগেই এই চেষ্টা ছেড়ে দিয়েছি।  এর পরিবর্তে অামি তাদের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা দ্বারা বিপথে পরিচালিত মানুষদেরকে কিছু বলতে চাই।

➡এখানে তাদের কিছু প্রধান অভিযোগ এবং অামার মতামত তুলে ধরা হলোঃ

⚠সৌদি অারব ইসরায়েলের কাছে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে!
⚠তারা ফিলিস্তিনের সার্থ রক্ষার্থে কোনো কাজ করছেনা!
⚠ সৌদি কর্মকর্তারা গোপনে ইসরায়েলে যেয়ে মিটিং করছে অামেরিকার প্রস্তাবিত শতাব্দির এগ্রিমেন্ট বাস্তবায়ন করতে!

উপরের সবগুলোই মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা।  কোনটাই প্রমানিত হয়নি অাজও।একই সময় সব প্রমানিত সত্যকে পাশকাটিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তুর্কির সাথে ইসরায়েলের শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে যার মাঝে  ডিপ্লোমেটিক, মিলিটারি,ইকোনমিক ও  সাংস্কৃতিক সম্পর্কগুলো প্রধান।

ℹজেরুজালেম ও তেল অাবিবের ইসরাইলি  এমবাসি ও কনসুলেটে তুর্কি পতাকা মাথা উচু করেই উড়ছে প্রতিনিয়ত!  কাতার খুব সাধারনভাবেই প্রকাশ্যে ইসরাইলি মন্ত্রীপরিষদ ও কর্মকর্তাদের অভ্যর্থনা দিয়ে সন্মানিত করছে। কিছুদিন পুর্বেই ওমান ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীকে রাজকীয় সন্মাননা দিলো। ইসরায়েলের সাথে ব্যবসা ও লেনদেন করতে যেয়ে অসংখ্যবার ধরা খেয়েছে ইরান। মরক্কো এবং তিউনিসিয়া ইসরায়েলের সাথে তাদের সুসম্পর্কের বেপারে কোন গোপনিয়তা অবলম্বন  করেনা।

❗কিন্তু তার পরও তথাকথিত ইসলামপন্থি ও অারব-জাতীয়তাবাদী সমালোচকরা সৌদির বীরুদ্ধে  অন্ধের মতো সুনিশ্চিত গুজবগুলো নিয়ে মুখরিত থাকে। অামরা তাদেরকে বলি, অামরা ইসরাইলের কাছে ঋণি নই, তাই তাদের সাথে যদি সম্পর্ক রাখতেই হয় তাহলে তা অামরা প্রকাশ্যেই রাখতে পারতাম। কারোর ভয়ে বা অন্যকোনো কারনে তা গোপন রাখতে হতো না।

যাই হোউক, অামাদের মুসলিম ও অারব বিবেকবান(!)রা বলে অামরা ফিলিস্তিনের ব্যপারে পক্ষপাতমুলকভাবে চুপ থাকি! তারা অারোও বলে অামরা অামেরিকার সাথে বিশাল প্রতিরক্ষা(সামরিক অস্র ক্রয়) চুক্তি করার পরিবর্তে কেনো অারব দেশগুলোতে ইনভেস্টমেন্ট করিনা ও অনুদান দেই না! সৌদি অারবের সম্পদকি অামাদের সম্পদ নয়? কোথায় যায় এগুলো?

📌সৌদি অারব বর্তমানে এবং ইনশাআল্লাহ অদুর ভবিষ্যতেও  অারব ও মুসলিম বিশ্বে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী ও দাতা দেশ।
সম্প্রতি মিশরে  সৌদির সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়গের পরিমান ১০০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি! অামরা ইয়েমেন,ফিলিস্তিন,সিরিয়া,জর্ডান,লেবানন,ইরাক,সুদান,তিউনিসিয়া,মরোক্কর,সোমালিয়া এবং সর্বপরি গলফ দেশগুলোত অন্যতম বড় বিনিয়োগকারী। উদাহরণস্বরূপ অারব-অামিরাত ও বাহরাইনে অামারা সবচেয়ে বড় অান্তর্যাতিক বিনিয়োগকারি।

ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক  যা ৫৭ টি মুলসলিম দেশের জন্য অনুদান ও তহবিল গঠন এর কাজ করে, সৌদি অারব এর  স্থপতি ও সবচেয়ে বড় শেয়ার হোল্ডার!

যখনি কোন মুসলিম বা অারব দেশ কোনো দুর্যোগে পতিত হয় বা কোন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সৌদি অারব তখনই ঐসব দেশের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে যায়। এবং এই সাহায্য থেকে ইরান এর মতো দেশও বাদ যায় না। সম্প্রতি অামরা ইয়েমেন ১৩ বিলিয়ন ডলারের মানবিক সাহায্য ও  উন্নয়নমূলক সাহায্য দিয়েছি।

অার নিজ দেশে সৌদি ভিশন ২০৩০ কে সামনে রেখে শুধু দেশীয় বেসরকারি ইনভেস্টমেন্ট নয়,শত শত বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ইনভেস্টরসদের অর্থকে কাজে লাগানো হচ্ছে অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন উন্নত শহর ও অত্যাধুনিক শিল্পকারখানা তৈরিতে।

কিন্তু না! অামাদের সম্পদ শুধুমাত্র অামাদের! অাপনারা সমৃদ্ধশালি ছিলেন অামাদের এই উন্নয়নের পুর্বেই, কিন্তু নিজেদের সম্পদ অাপনারা নিজেরা অপচয় করে নষ্ট করে শেষ করেছেন।অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি মাত্র ১% মানুষের হাতে দেশের ৯৯% সম্পদ তুলে দেয়!,এবং বাকি ৯৯% মানুষকে  রাখে বঞ্চিত । অধিকাংশ  অারব দেশগুলো এখনো ব্রিটিশ ও ফ্রান্স ঔপনিবেশিক কালের অবকাঠামো ব্যবহার করে।কথিত বীপ্লবিরা তাদের নিজেদের স্বার্থে সমাজ ও সরকারকে পরিবর্তন করেছে, সংশ্লিষ্ট দেশের জনগনের জন্য নয়।

অামরা অাজ অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী কারন অামরা অামাদের সম্পদ অামাদের দেশের জনগনের জন্য ব্যয় করেছি।অামরা  বর্তমানে ও হয়তো ভবিষ্যতেও অাপনাদের সাহায্য করবো। কিন্তু সাহায্য পেতে থেকে অামাদের সম্পদকে নিজেদের সম্পদ মনে করার মনমানসিকতা পরিবর্তন করুন।এগুলো অামাদের সম্পদ!অাপনাদের নয়!

অারবরা ইরানকে সন্ত্রাসী ও অারব দেশগুলোর জন্য হুমকি মনে করে।তারা পরিস্কারভাবে ইরানকে বর্তমানে অারবের জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতিকর মনে করে।"ইসলামিক রিপাবলিক " সৌদি অারবের জন্য কোনো সমস্যা নয়,এবং রাজনৈতিক সামঝোতাও সম্ভব। পশ্চিমারা ইরানকে দিয়ে অস্ত্র ব্যবসার জন্য পানি ঘোলা করে অাপনাদের বোকা বানাচ্ছে।

অাচ্ছা ধরুন, অামরা যদি ইরানে মিলিশিয়াদের সাপোর্ট করি এবং তাদের অর্থনৈতিক সাহায্য ও অস্ত্র দিয়ে ইরান সরকারের বীরুদ্ধে উস্কে দেই,তাদেরকে ট্রেনিং দিই,মিসাইল দেই, যাতে করে তারা ইরানের  কুম বা সিরাজ শহরের  শিয়াদের কথিত পবিত্র মাজারগুলোত বোম মারে  বা সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে  তাহলে কি এই অাগ্রাসনের বীরুদ্ধে তেহরান সহনশীলতা দেখিয়ে ডিপ্লোমেটিক পদ্ধতিতে সমাধান খুজবে?

কিন্তু বাস্তবতা হলো ইরান এর চেয়ে হাজারগুন বেশি করছে। অামাদের ভৌগলিক অবস্থানের চারপাশে চক্রাকারে তারা হুমকি এবং বিভীষিকা ছরিয়ে রেখেছে সিরিয়া,ইরাক,লেবানন ও ইয়েমেনে তাদের এজেন্টদের মাধ্যমে। অাল-কায়েদা থেকে অাইএসঅাইএস বা দায়িশ, হিজবুল্লাহ থেকে হুথি, সবধরনের শিয়া-সুন্নি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে তারা সাপোর্ট করছে,অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তা দিচ্ছে। তারা মানুষকে একে অন্যের বীরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলছে, ক্ষেপিয়ে তুলছে  সরকারের বীরুদ্ধে, তৈরি করছে অস্থিতিশীল পরিবেশ। এমনকি তারা পবিত্র শহর মক্কায় পর্যন্ত মিসাইল মারছে!

অাপনারা কি অাশা করেন অামরা এসবকিছুই সচ্ছ এবং খাটি ডিপ্লোমেটিক পদ্ধতিতে সমাধান করবো? অামরা বিগত ৪০ বছর ধরে এটাই চেষ্টা করে অাসছি,কিন্তু তা কেনো কাজে অাসেনি!

অামরা অামাদের দেশকে রক্ষা করতে অন্য কারোর উপর নির্ভর করতে পারিনা। "নিজের না থাকলে বিপদে পরতে হয়" ওবামার সময় যখন অামেরিকা তাদের সেনা প্রত্যাহার করতে উদ্যত হয়েছিল তখন অামরা এই ভালো শিক্ষাটি পাই। একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত সেনাবাহিনী অামাদের প্রতিরক্ষা ঢাল। বন্ধুদেশ ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা হয়তো তার পরই পাশে থাকবে। তাই অস্ত্র ও প্রযুক্তির জন্য পশ্চিমা বা অন্য কোনো দেশের সাথে অামাদের কুটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে অাপনার যতই অখুশি হোউননা কেনো,অামাদের কিছু করার নেই।

🔘▫সংক্ষেপে, অামরা জানি অামরা কি করছি! অামাদেরকে বুঝতে চেষ্টা করুন!বাকি রইলো অারব দেশগুলো ও অন্যান্য মুসলিম দেশগুলো,যারা হারহামেশাই ইচ্ছাকৃত বা ভুল তথ্যের ভিত্তিতে অামাদের বীরুদ্ধচারন করছেন, অাপনারা নিশ্চিত থাকুন যেকোনো পরিস্থিতিতে অামরা অাপনাদের অর্থনৈতিক ও কুটনৈতিক সাহায্য করা থেকে নিজেদেরকে দুরে সরাবো  না,ইনশাআল্লাহ। প্রকৃতপক্ষে অামরা অারব দেশগুলোকে এবং মুসলিম দেশগুলোকে মাজুশি শিয়াদের ইহুদি চক্রান্ত হতে রক্ষা করছি।
তাই অামাদের সাথেই থাকুন,এবং অামাদের জন্য দুয়া করুন!

যদি সৌদি অারবের নিন্দুকদের কথায় অাসি, তাদের প্রোপাগাণ্ডা মেশিন বন্ধ হওয়ার কোনো লক্ষন নেই। সত্যি বলতে, যতোদিন সৌদি অারব এভাবে অর্থনৈতি ও বৈশ্বিক প্রভাব বিস্তারে শীর্ষ পর্যায়ে অবস্থান করবে ততোদিনে নিন্দুকরা তাদের এই প্রোপাগাণ্ডার বন্দুক চালাতেই থাকবে এই অাশায় যে, যেকোনোভাবেই তাদের  ছোরা কোনো বুলেট হয়তো কোনদিন সৌদির কোনো রকেটকে ভূপতিত করবে!

🖍মূলঃ ড. খালেদ এম বাতারফি
(  Assistant Prof. at Alfaisal Univ. Political & Economic Analyst, Writer: Saudi Gazette, Makkah Journal. Twitter  Arabic account: @kbatarfi
Jeddah, Kingdom of Saudi Arabia)

📇অনুবাদঃ ইশতিয়াক অাহমেদ।