আমাদের সমাজে শিরকী ও বিদ‘আতী বিভিন্ন জামা‘আত রয়েছে। কবর পূজারী , মাজার পূজারী, পীর পূজারী, মুরববী পূজারী, আর মীলাদপন্থীদের মত অসংখ্য দল আমাদের গোটা সমাজটাকে করছে
কলুষিত। এসব ফের্কাবন্দীরা একে অপরকে দেখতে পারে না। নিজে শিরকে নিমজ্জমান অথচ
অপরকে মুশরিক বলতে দ্বিধা নেই,
নিজে বিদ‘আতে লিপ্ত অথচ
অন্যকে বিদ‘আতী বলতে
কার্পণ্য নেই। অপ্রিয় হ‘লেও বলতে হচ্ছে
যে, এসব জামা‘আতসমূহের মধ্যে
প্রসিদ্ধ একটি জামা‘আত হচ্ছে তাবলীগ
জামা‘আত। এরা মুখে
তাওহীদের দাওয়াতের বুলি আওড়ালেও বস্ত্তত এদের দা‘ওয়াত ও প্রশিক্ষণে শিরক ভরপুর। আমার মতের স্বপক্ষে
পাঠকবৃন্দের সামনে প্রমাণাদি উপস্থাপনার পূর্বে এ জামা‘আতের একটি
ধোঁকাবাজির কথা উল্লেখ করতে চাই। সউদী আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশে তাবলীগী
কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়। সাউদী আরবের কতিপয় তাবলীগী ভাইয়ের সাথে আমার ঘনিষ্ঠ
সম্পর্ক থাকায় আমি তাদেরকে যখন আমাদের দেশের তাবলীগী মুরববীদের আক্বীদার কথা বললাম, তখন তারা
আশ্চর্য হয়ে আমাকে জানালেন, সাউদীসহ
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর তাবলীগের তা‘লীমী কিতাব হচ্ছে ইমাম নববী সংকলিত ‘রিয়াযুছ ছালেহীন’ (হাদীছের একটি
প্রসিদ্ধ গ্রন্থ)। অথচ আমাদের
দেশের তাবলীগ জামা‘আতের তা‘লীমী গ্রন্থ
হচ্ছে মাওলানা যাকারিয়া প্রণীত ‘তাবলীগী নিসাব’ বা ফাযায়েলে আম’ল’। যার কথা তারা
কোনদিন শোনেননি। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানে
মনগড়া হাদীছ ও সূফীদের গল্প-কাহিনীতে ভরপুর ‘ফাযায়েল-এ আমল’ নামক গ্রন্থকে নেছাব করণের কথা কয়েকজন সউদী তাবলীগপন্থীর
নিকট বললে তারা এ শিরকী জামা‘আতের সাথে
সম্পর্ক না রাখার কথা জানিয়েছেন। ফালিল্লা-হিল হামদ।
তাবলীগ জামা‘আতের প্রশিক্ষণের কিতাব হচ্ছে ‘তাবলীগী নেছাব’ নামে খ্যাত
মাওলানা যাকারিয়া সাহারানপুরী প্রণীত কয়েক খন্ড সমৃদ্ধ গ্রন্থ ‘ফাযায়েল-এ আমল’। খালেছ তাওহীদে
বিশ্বাসী, পবিত্র কুরআন ও
সহীহ হাদীসে সঠিক জ্ঞানি ব্যক্তি এ কিতাব গুলি পড়লে তাবলীগীদের আসল চেহারা তাদের
নিকটে উন্মোচিত হবে। আমি পাঠকবৃন্দের
খেদমতে দু’একটি নমুনা পেশ
করছি : তাবলীগীদের মুরুববী মাওলানা যাকারিয়া স্বীয় পীর রশীদ আহমাদ গাংগুহীর একটি
পত্র ‘ফাযায়েল-এ
সাদাকাত’ নামক কিতাবে
উল্লেখ করেছেন। যে পত্রে মাওলানা গাংগুহী স্বীয় পীর এমদাদ উল্লাহ মক্কীকে সম্বোধন
করেছেন, ‘হে আমার দুই
জাহানের আশ্রয়স্থল’
(ফাযায়েল-এ সাদাকাত ২/১৮৫ পৃ:) পূর্বসূরী ও মুরববীদের যাদের উভয় জাগতের
আশ্রয়স্থাল (!) তারা কিরূপ মুসলিমীন পাঠকই চিন্তা করুন। ‘ফাযায়েল-এ
সাদাকাতে’ মালেক বিন দিনার
নামক এক বুযুর্গের ঘটনা বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে। এতে মালেক বিন দিানার কর্তৃক এক
ব্যক্তিকে দুনিয়াতেই বেহেশতের লিখিত সার্টিফিকেট প্রদান এবং পরবর্তীতে ঐ ব্যক্তির
জান্নাত লাভের ঘটনা বিস্তারিত আলোচিত হয়েছে। (দেখুন : ফাযায়েলে-এ সাদাকাত ২/৩৪৫-৪৬
পৃঃ)
যে কোন খালেস তাওহীদে বিশ্বাসী মুসলমান এ ঘটনা পড়লে গা
শিউরে উঠবে। যেখানে স্বয়ং আমাদের নাবী (ছাঃ) আল্লাহর নির্দেশ ব্যতীত কাউকে
জান্নাতের সু-সংবাদ দেননি। অথচ তাবলীগীদের পূর্বসূরী মালেক বিন দিনার অনায়াসেই
জান্নাতের সার্টিফিকেট প্রদান করলেন (নাউযুবিল্লাহ)। তাইতো
তাবলীগীদের মুখে মুখে মুরববীর কথা, কুরআন ও ছহীহ হাদীছের কথা নেই। কারণ মুরববীরাই তো তাদের
জান্নাতের সার্টিফিকেট (!)। তাবলীগীদের এসব মনগড়া হাদীছ বর্ণনা, মিথ্যা
কিচ্ছা-কাহিনী দিয়ে লোকদের তাবলীগে উৎসাহ প্রদান, বিশ্ব ইজতেমাকে হজ্জের সমপর্যায়ে করণ, তাবলীগই নাজাতের
পথ ঘোষণা ইত্যাদি কার্যকলাপ সচেতন সকল মুসলমানের জানা। তাই তাদের শিরকী ও বিদ‘আতী আগ্রাসন
থেকে মুসলিম উম্মাহকে রক্ষা করতে খাঁটি তাওহীদে বিশ্বসী কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর
নিঃস্বার্থ অনুসারীদের এগিয়ে আসা একান্তা জরূরী।
''হে রসুল (সাঃ)
বলুন! আমি কি তোমাদেরকে কার্যকলাপের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থদের সংবাদ
দেব? (তারা হল ঐসব
লোক) যাদের দুনিয়ার জীবনের সমস্ত প্রচেষ্টা পন্ড হয়ে গেছে, অথচ তারা মনে
করত কত সুন্দর কাজই না তারা করছে। তারাই সেসব লোক যারা তাদের রবের আয়াতসমুহ ও
তাঁর সাক্ষাতের বিষয় অস্বীকার করেছে, ফলে তাদের সমস্ত আমল বিনষ্ট হয়ে গেছে। সুতারাং কেয়ামতের
দিন আমি তাদের জন্য ওজন স্থাপন করবো না।'' (সুরা কাহাফঃ১০৩-১০৫)
তাবলিগ জামায়াতের বুজুর্গরা শেষ পর্যন্ত স্বপ্নে আল্লাহর
সাথেও কথা বলে ফেলেছেন! আবার ফেরেস্তারাও সংবাদ নিয়ে অবতরণ করেছেন! (নাউজুবিল্লাহ)
ফাজায়েলে হজ্জ ১৪৮- ১৪৯ ।
ফাজায়েলে হজ্জ ১৪৮- ১৪৯ ।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মুসা
কালিমুল্লাহ ব্যতীত আর কোনো নবী স্বপ্নে বা সরাসরি আল্লাহর সাথে কথা বলেছেন এমন
প্রমান এখনো পাইনি। পেলে মেনে নিব।
সকল নবী রাসুলের কাছে ফেরেস্তা এসে খবর পৌছে দিয়েছেন| রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে রিসালাত এর
ধারাবাহিকতা ঘটত যে কোন কোন আমল কবুল হয়েছে তার বর্ণনা ফেরেস্তা এসে দিয়ে গিয়্ছেন
তাহলে নাহয় কিছুটা বিশ্বাস করা যেত যে বুজুর্গের কাছেও মনে হয় এসেছে! বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
আর তাবলিগ জামায়াতের জাকারিয়া সাহেবের বুজুর্গের কাছে
স্বপ্নে ফেরেস্তাও এসেছে আবার স্বপ্নে আল্লাহর সাথেও নাকি কথা বলেছেন।
(নাউজুবিল্লাহ)
এর মানে কি? এর অর্থ কি? এই বুযুর্গগীরির দ্বারা কি বুঝাতে চেয়েছেন জনাব জাকারিয়া সাহেব এবং তার অন্ধ
ভক্তকুল?
আল্লাহু আকবার! এই বুজুর্গের কেরামতি দেখেন। স্বপ্নে
ফেরেস্তা এসে বুযুর্গকে হজ্জ কবুল হওয়ার গেরান্টি দিচ্ছে! কয়টা হজ্জ কবুল হয়েছের
তার সেটা জানাচ্ছে! এমনকি বুজুর্গ নিজের হজ্জ অন্যকে দান পর্যন্ত করে দিচ্ছে!
এরকম কোনো ঘটনা কোনো সাহাবীর বা তাবেতাঈন বা ইমামদের
ক্ষেত্রে যদি হত তাহলে বিশাস করা যেত ।
একটি গপ্ল, আশা করি সবাই পড়িবেন এবং চিন্তা করিবেন।
বিখ্যাত ছুফী ও বুজুর্গ হজরত শাফেখ আহমদ রেফায়ী (রঃ) ৫৫৫
হিজরী সনে হজ্ব সমাপন করিয়া জিয়ারতের জন্য মদীনায় হাজির হন।
কবর শরীফের সামনে দাঁড়াইয়া এই দুইটি বয়াত পড়েন~"' দূরে থাকা অবস্থায় আমি আমার রুহুকে হুজুরের খেদমতে পাঠাইয়া
দিতাম; সে আমার নায়েব হইয়া আস্তানা শরীফে চুম্বন
করিত।
আজ আমি শশরীরে দরবারে হাজির হইয়াছি। কাজেই হুজুর আপন হাত
মোবারক বাড়াইয়া দিন যেন আমার ঠোট উহাকে চুম্বন করিয়া তৃপ্তি হাছেল করিতে
পারে।"
বয়াত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কবর শরীফ হইতে হাত মোবারক বাহির হইয়া
আসে এবং হজরত রেফায়ী (রঃ) উহাকে চুম্বন করিয়া ধন্য হন।
((((
এই গপ্ল টি
ফাজায়েলে হজ্ব, দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ, কেচ্ছা নাম্বার ১৩, পৃষ্ট নাম্বার ১৫৮ থেকে ১৫৯ নেয়া))))
বুজুর্গের স্বপ্নের মাধ্যমে,
১। ৬ লক্ষ লোকের থেকে মাত্র ৬ জনের হজ্জ কবুল হওয়ার সংবাদ নেমে আসলো পৃথিবীতে!
২। একজনের কবুল হজ্জের বরকতে ৬ লক্ষ লোকের হজ্জ আল্লাহ কবুল করে নিলেন এই সংবাদ আসলো পৃথিবীতে।
বুজুর্গের স্বপ্নের মাধ্যমে,
১। ৬ লক্ষ লোকের থেকে মাত্র ৬ জনের হজ্জ কবুল হওয়ার সংবাদ নেমে আসলো পৃথিবীতে!
২। একজনের কবুল হজ্জের বরকতে ৬ লক্ষ লোকের হজ্জ আল্লাহ কবুল করে নিলেন এই সংবাদ আসলো পৃথিবীতে।
বুজুর্গ ৫০ বার হজ্জ
করেছেন।
বুজুর্গ নিশ্চিত হয়েছেন তার ৫০ হজ্জই কবুল হয়েছে !
উনি নিজের হজ্জ অন্যকে বখশিশ করিয়া দিলেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এবং সাহাবীদের এবং উনার পিতা মাতাকে ! পিতা মাতার হজ্জ তিনি করে দিতে পারেন কিন্তু নিজের হজ্জ কিভাবে তিনি বখশিয়ে দিলেন তা আল্লাহ ভালো জানেন।
উনি জনৈক ব্যক্তির হজ্জ কবুল হয় নাই ( জানলেন কেমনে?) তা-ই নিজের একটি হজ্জ বখশিশ করে দিলেন ! উনি জানলেন কেমনে উনার হজ্জ কবুল হয়েছে!
বুজুর্গ নিশ্চিত হয়েছেন তার ৫০ হজ্জই কবুল হয়েছে !
উনি নিজের হজ্জ অন্যকে বখশিশ করিয়া দিলেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এবং সাহাবীদের এবং উনার পিতা মাতাকে ! পিতা মাতার হজ্জ তিনি করে দিতে পারেন কিন্তু নিজের হজ্জ কিভাবে তিনি বখশিয়ে দিলেন তা আল্লাহ ভালো জানেন।
উনি জনৈক ব্যক্তির হজ্জ কবুল হয় নাই ( জানলেন কেমনে?) তা-ই নিজের একটি হজ্জ বখশিশ করে দিলেন ! উনি জানলেন কেমনে উনার হজ্জ কবুল হয়েছে!
ওহো! ফেরেস্তা এসে নাকি
বলে গিয়েছে !!!!!!
হে পাঠক ভাই!
এগুলো যদি ইসলাম হয় তাহলে বেশি বেশি এগুলোর প্রচার করা ঈমানী দায়িত্ব।
এগুলো যদি ইসলাম হয় তাহলে বেশি বেশি এগুলোর প্রচার করা ঈমানী দায়িত্ব।
আর যদি বলেন এগুলো মিথ্যা
বানোয়াট ইসলামের নামে ইসলাম ধংসের ষড়যন্ত্র তাহলে এগুলোর কড়া প্রতবাদ করাই ঈমানী
দায়িত্ব।
তারা যুক্তি দেখায় অথচ
আল্লাহ কুরআনে তাদের অজর পেশের সুযোগ রাখেন নি।
হে রাসুল(সাঃ) বলুন!
তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর
প্রদত্ত বিধানসমূহ এবং তাঁর রাসুল (সাঃ) এর ঠাট্রা করছো? তোমরা
কোনরকম ওজর পেশ করো না। কারন তোমরা ঈমান আনার পরে কুফরী আচরন করেছ (সুরা তাওবাঃ
৬৫-৬৬) ।
ইলামের লেবাসে, ইসলামের
নামে, কিছু
ইসলামের বিধান দিয়ে ঢেকে মূলত বড় বড় শিরক আর বিদাতের ব্যপক প্রচার করে যাচ্ছে
তারা।
শিরক অতীতের সমস্ত আমল
ধংসা করে।
“আর যদি তারা শিরক করে
তাহলে তাদের সকল আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে।” (সুরা আনআম: ৮৮)
আর বিদাত চলে সামনের
দিকে। বিদাত করলে সামনের কোনো আমল কবুল হবে না। (ইবনে মাজাহ)
তো এইবার বিবেচনা আপনার।
মিসরে একজন নেক বখত লোক ছিলেন। অভাবগ্রস্ত হইয়া লোক তাহার
নিকট অাসিলে তিনি চাঁদা উসুল করিয়া তাহাকে দিয়া দিতেন।
একদা জনৈক এক ফকীর অাসিয়া বলিল অামার একটি ছেলে
হইয়াছে।তাহার এছলাহের ব্যবস্থার জন্য অামার কাছে কিছুই নাই।
এই ব্যক্তি উঠিল এবং ফকীরকে অনেক লোকের নিকট গিয়াও ব্যর্থ
হইয়া ফিরিল।
অবশেষে নিরাশ হইয়া একজন দানবীর ব্যক্তির কবরে নিকট গিয়া
সমস্ত কথা তাহাকে শুনাইল।
অতঃপর সেখান হইতে ফিরিয়া নিজের পকেট হইতে একদা দীনার বাহির
করিয়া উহাকে ভাংগাইয়া অর্ধেক নিজে রাখিল ও বাকী অর্ধেক ফকীরকে কর্য দিয়া বলিল ইহা
দ্বারা প্রয়োজন মিটাও।
অাবার তোমার হাতে পয়শা অাসিলে অামার পয়শা অামাকে দিয়া দিও।
রাত্রি বেলায় সে লোকটি কবরওয়ালাকে স্বপ্নে দেখিল যে সে
বলিতেছে অামি তোমার যাবতীয় অভিযোগ শুনিয়াছি কিন্ত বলিবার অনুমতি দেয়া হয় নাই।
তুমি অামার ঘরে গিয়া পরিবারস্থ লোকদিগকে বল ঘরের অমুক অংশে
যেখানে চুলা রহিয়াছে,উহার নীচ একটা চীনা বরতনে পাঁচ শত
অাশরাফী রহিয়াছে তাহারা যেন উহা উটাইয়া সেই ফকীরকে দিয়া দেয়।
ভোর বেলায় সেই কবর ওয়ালার বাড়িতে গেল ও তাহাদিগকে তাহার
স্বপ্নের কথা শুনাইল।
তাহারা বাস্তবিকই সেখান হইতে পাঁচ শত অাশরাফী উঠাইয়া ফকীরকে
দিয়া দিল।লোকটি বলিল ইহা একটি স্বপ্ন মাত্র।
শরীয়ত মতে ইহাতে অামল জরুরী নয়।তোমরা ওয়ারিশ হিসাবে ইহা
তোমাদের হক্ব।তারা বলিল,বড়ই লজ্জার ব্যাপার,তিনি মৃত হইয়া দান করিতেছেন অার অামরা জীবাত হইয়াও দান করিব না?
অতএব সে টাকা লইয়া ফকীরকে দিয়া দিল ফকীর সেখান হইতে একটা
দিনারের অর্ধেক নিজে রাখিল ও অর্ধেক তাহার ঋন পরিশোধ করিল,তারপর বলিল অামার জন্য এক দিনারই যতেষ্ট বাকীগুলি দিয়া অামি কি করিব?
সে ঐগুলি ফকীরদের মধ্যে বন্টন করিয়া দিল।ছাহেব এতহাফ্ বলেন,এখানে চিন্তা করিবার বিষয় এই যে সবচেয়ে বড় দাতা কে?
কবর ওয়ালা না তার ওয়ারিশান?
না ফকীর?
অামাদের নিকট তো ফকীরই সবচেয়ে বড় দাতা,সে যেহেতু নিজে ভীষন অভাব গ্রস্থ হওয়া সত্ত্বেও অর্ধেক দিনারের বেশী নিল না।
অামাদের নিকট তো ফকীরই সবচেয়ে বড় দাতা,সে যেহেতু নিজে ভীষন অভাব গ্রস্থ হওয়া সত্ত্বেও অর্ধেক দিনারের বেশী নিল না।
(((ফাজায়েলে সাদাকাত ২য় খন্ড ৩২২ পৃষ্টা)))
পাঠকবৃন্দ! চিন্তা করে দেখুন,এ ঘটনা কি এই শিক্ষা দেয় না যে,যখন জীবিতদের থেকে নিরাশ হয়ে যাবে অার কোথাও কিছু না পাবে,
তখন কোন দানশীলের কবরের নিকট গিয়ে সমস্ত পেরেশানীর কথা
বর্ণনা কর।
কারন দানশীল ব্যক্তি মৃত্যুর পরেও সুনতে পায় এবং অাহবানে
সাড়া দিতে পারে।
অথচ এটা সম্পুর্ণরূপে কুরঅান হাদীস পরিপন্থী বিশ্বাষ এবং যা
শির্কে আকবর।
انك لا تسمع الموتى ولاتسمع الصم الدعاء إذا ولوا مدبرين،،
হে নাবী মৃত ব্যক্তিকে তুমি কোন কথা, কোন আহব্বানই শুনাতে পারবে না।
(সুরা আন নামলঃ৮০)))
এখন কথা হলো, মৃত ব্যক্তিকে
যদি রাসুল (সাঃ) না শুনাতে পারে তাহলে কে বা আছে তার চেয়ে উওম যে মৃতকে শুনাবে
মহান আল্লাহ বলেন :
যদি রাসুল (সাঃ) না শুনাতে পারে তাহলে কে বা আছে তার চেয়ে উওম যে মৃতকে শুনাবে
মহান আল্লাহ বলেন :
{وَلَقَدْ أُوحِيَ إِلَيْكَ
وَإِلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكَ لَئِنْ أَشْرَكْتَ
لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ
وَلَتَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ}
‘‘আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের
প্রতি প্রত্যাদেশ হয়েছে আপনিও যদি আল্লাহ সাথে শরীক স্থাপন করেন তবে আপনার সকল
কর্ম নিস্ফল হয়ে যাবে এবং আপনি হবেন ক্ষতিগ্রস্তদের একজন।’’ (সূরা আল-যুমার ৬৫)
চিন্তা করুন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে মনোনীত মা’সুম রসূল (সাঃ) -এর থেকে সুন্দর ‘আমাল আর কার হতে পারে? কিন্তু তাঁর ‘আমালও শির্কের উপস্থিতিতে গ্রহণযোগ্য
হচ্ছে না। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হচ্ছে শির্ক মিশ্রিত ‘আমাল তা যতই ভাল হোক না কেন আল্লাহ তা‘আলা তা কখনও গ্রহণ করবেন না। অন্যত্র এই
বাস্তবতাকে আল্লাহ তা‘আলা এভাবে ইরশাদ করেন :
{الَّذِينَ آمَنُوا وَلَمْ يَلْبِسُوا إِيمَانَهُمْ بِظُلْمٍ
أُولَئِكَ لَهُمُ الْأَمْنُ
وَهُمْ مُهْتَدُونَ}
‘‘যারা ঈমান এনেছে এবং স্বীয় বিশ্বাসকে যুলম
দ্বারা কলুষিত করেনি, নিরাপত্তা তাদের জন্য এবং এরাই
সৎপথপ্রাপ্ত।’’ (সূরা আল-আনআম ৮২)
আলোচ্য আয়াত দ্বারা বুঝা যাচ্ছে শাস্তির কবল থেকে নিরাপদ ও
নিশ্চিত এবং হিদায়াতে রাববানির হাক্বদার তারাই, যারা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, অতঃপর বিশ্বাসের সাথে কোনরূপ যুলম এবং শির্ককে মিশ্রিত করে না। [হাদীসে বর্ণিত
যে, উক্ত আয়াত নাযিল হলে সহাবায়ে কিরাম
(রাযি.) চমকে উঠলেন এবং আরয করলেন : হে আল্লাহর রসূল (সাঃ)! আমাদের মধ্যে এমন কে
আছে যে, পাপের মাধ্যমে যুলম করে নি?]
উপরোক্ত আয়াতের শাস্তির কবল থেকে নিরাপদ হওয়ার জন্য
বিশ্বাসের সাথে যুলমকে মিশ্রিত না করার শর্ত বর্ণিত হয়েছে। এমতাবস্থায় আমাদের
মুক্তির উপায় কি? মহানাবী (সাঃ) উত্তরে বললেন, তোমরা আয়াতের প্রকৃত অর্থ বুঝতে সক্ষম হওনি,
আয়াতে যুলম
দ্বারা শির্ক বুঝানো হয়েছে। যেমন সূরা লুক্বমানে আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
{إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ
عَظِيمٌ}
‘‘নিশ্চয়ই শির্ক বড় যুলম।’’ (লুক্বমান ১৩)
সুতরাং আয়াতের অর্থ এই যে,
যে ব্যক্তি
বিশ্বাস স্থাপন করে, অতঃপর আল্লাহর সত্তা ও গুণাবলীতে কাউকে
অংশীদার না করে, সে শাস্তির কবল থেকে নিরাপদ ও
সুপথপ্রাপ্ত। হায়! তাবলীগী জামা‘আত যদি আক্বীদাহ সংশোধনের জন্য কিছু কাজ
করত! নেক ‘আমালের সঙ্গে সঙ্গে আক্বীদাও কিছু সংশোধন
করত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এ সম্পর্কে কোন কাজ হচ্ছে না। তাবলীগী
নিসাবের অনেক স্থানে শির্কী কথার বর্ণনা রয়েছে, আমাদের ভয় হয় এগুলো পাঠকের কেউ যেন সঠিক
হিসাবে গ্রহণ না করে। যদি এমন করা হয় তাহলে রাবেব কারীমের বর্ণনা শুনুন :
{عَامِلَةٌ نَاصِبَةٌ، تَصْلَى
نَاراً حَامِيَةً}
‘‘কর্মক্লান্ত পরিশ্রান্তভাবে (বহু ‘আমালকারীরা) তারা প্রবেশ করবে জ্বলন্ত আগুনে।’’
(সূরা আল-গাশিয়া
৩-৪)
বহু মুজাহাদা, মেহনত এবং কষ্ট করে চিল্লা লাগিয়ে, ঘরবাড়ী ছেড়ে মুসিবাত বরদাস্ত করে মিলল কি? আগুন!!!
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন :
{قُلْ هَلْ نُنَبِّئُكُمْ بِالْأَخْسَرِينَ أَعْمَالاً،
الَّذِينَ ضَلَّ سَعْيُهُمْ
فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا
وَهُمْ يَحْسَبُونَ أَنَّهُمْ
يُحْسِنُونَ صُنْعاً}
‘‘(হে নাবী!) আপনি বলে দিন, আমি কি তোমাদের ক্ষতিগ্রস্ত ‘আমালকারীদের সম্পর্কে খবর দিব? দুনিয়ার জীবনে যাদের সমস্ত ‘আমাল বরবাদ হয়েছে অথচ তারা ভাবে যে, তারা সুন্দর ‘আমাল করে যাচ্ছে।’’ (সূরা কাহাফ ১০৩-১০৪)
হায় আফসোস! তাবলীগী জামা‘আতের মুরুববীগণ যদি তাবলীগী নিসাব থেকে
শির্ক ও বিদ‘আতগুলো বের করে দিত এবং এই নিসাবকে
পুনরায় নতুন করে সংশোধন করে সংকলন করত, তাহলে অতী উত্তম হত। এই নিসাবের
প্রত্যেকটি বর্ণনাকে (জারাহ তা’দীল অনুযায়ী) শুদ্ধকরণের মাধ্যমে কুরআন
মাজীদ এবং সহীহ হাদীসের মানদন্ডে যাচাই করে, যে সকল বিষয়গুলি ভ্রান্ত প্রমাণিত হয় তা
বাদ দিয়ে মিথ্যা বর্ণনা এবং যঈফ (দুর্বল) বর্ণনা দ্বারা মানুষের আক্বীদাহ খারাপ না
করে এবং বিচ্ছিন্ন মাযহাব থেকে যদি বিরত থাকে, তাহলেই আশা করা যায় যে, দ্বীন দুনিয়ার সফলতা বা কামিয়াবী অর্জিত হবে।
{وَلاَ تَهِنُوا وَلا تَحْزَنُوا وَأَنْتُمُ الأَ<عْلَوْنَ إِنْ كُنْتُمْ
مُؤْمِنِينَ}
‘‘তোমরা হীন বল হয়ো না, চিন্তিত হয়ো না, তোমরাই জয়ী হবে যদি তোমরা মু’মিন হও।’’ (সূরা আলু ইমরান ১৩৯)
এ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদের সঙ্গে জয়ী এবং কামিয়াবীর ওয়াদা
করেছেন। মুশরিকদের সঙ্গে নয়। বুঝা যাচ্ছে আজ আমরা লাঞ্ছনা, অপমান, নিপীড়ন,
শোষণ-বঞ্চনার
শিকার কারণ আমাদের অধিকাংশই দাবিতে ঈমানদার এবং ভৌগলিক মু’মিন কিন্তু ঈমান শূন্য। যেমন মহান আল্লাহ বলেন :
{وَمَا يُؤْمِنُ أَكْثَرُهُمْ بِاللهِ إِلاَّ وَهُم مُّشْرِكُونَ}
‘‘তাদের অধিকাংশ আল্লাহকে বিশ্বাস করে
কিন্তু তাঁর শরীক করে।’’ (সূরা ইউসূফ ১০৬)
আর যদিও ঈমান কিছু থাকে, তা শির্কের চাদরে আবৃত। এ জাতীয় ঈমান মূলত ঈমানই নয়। এখন তাবলীগী নিসাব থেকে সংক্ষিপ্ত বিবরণ পেশ করছি। অপরদিকে এর মুকাবিলায় কুরআন এবং সহীহ হাদীস পেশ করছি। এ
বিষয়গুলি ফয়সালার ভার আমি পাঠকের উপর অর্পণ করছি।
সুতরাং সাবধান এই আযগবি শির্কি কথা থেকে যা তাবলিগ
জামাতের বইগুলোতে লিপিবদ্ধ করে শির্ক প্রচার করছে। সবার কাছে অনুরোধ রইল রেফারেন্স গুলো দেখে তারপড় বিচার করবেন আর সহিহ ভাবে তাবলিগ করার চিন্তা করবেন।
জামাতের বইগুলোতে লিপিবদ্ধ করে শির্ক প্রচার করছে। সবার কাছে অনুরোধ রইল রেফারেন্স গুলো দেখে তারপড় বিচার করবেন আর সহিহ ভাবে তাবলিগ করার চিন্তা করবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন