বুধবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৭

বিশ্ব বরেণ্য আলেমদের দৃষ্টিতে তাবলীগ জামাত ও ফাযায়েলে আমল - সঊদী অরবের সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদের সদস্য শাইখ সালেহ বিন ফাওযান (রহঃ) নিষিদ্ধকরন

সঊদী আরবের সর্বচ্চ ওলামা পরষিদের সদস্য আব্দুর রাযযাক আফিফী বলেন, বাস্তবে তাবলীগপন্থিরা বিদআতী, ইসলাম বিকৃতকারী এবং কাদেরীয়া সহ অন্যান্য বাতিল তরীকার অনুসারী। তারা আল্লাহর পথে বের হয়নি বরং তাদের প্রতিষ্ঠাতা আমীর ইলিয়াসের মনগড়া পথে বের হয়েছে; তারা কুরআন ও ছহীহ হাদীছের দিকে ডাকে না বরং তারা অতি সূক্ষ্মভাবে ইলিয়াসের দিকে ডাকে। আমি অনেক দিন আগে থেকেই এদের চিনিএরা মিসর, ইসরাঈলে বা আমেরিকায় যে স্থানেই থাকুক না কেন, এরা বিদআতী। (তথ্যসূত্রঃ বিশ্ববরেণ্য আলেমদের দৃষ্টিতে তাবলীগ জামাত, মুহাম্মাদ বিন নাসের আল-উরাইনী, পৃষ্ঠা নং ৫৮ -৫৯)।
সঊদী অরবের সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদের সদস্য শাইখ সালেহ বিন ফাওযান (রহঃ) বলেন, দাওয়াতের নাম ব্যবহার করে তাবলীগ জামায়াতের লোকেরা যা করে তা বিদআত; সাহাবী, তাবেঈ ও তাবে-তাবেঈ অর্থাৎ সালফে সালেহীনরা এভাবে দাওয়াত দেননি। এদের মাঝে অনেক বিদআত এবং ভ্রান্ত কুসংস্কার রয়েছে। এদের কর্মনীতি রাসূল (সাঃ) - এর কর্মসূচী ও কর্মনীতির পরিপন্থী ও বিরোধী।
এটি একটি বিদআতী ছূফী জামায়াত, এদের সম্পর্কে সাবধান থাকা অপরিহর্যতারা বিদআতী চিল্লা দেয়। তাদের দ্বারা ইসলামের কোন ফায়দা হবে না এবং কোন মুসলিমের জায়েয হবে না এ জামায়াতের সাথে সম্পর্ক রাখা এবং এদের সাথে চলা। (তথ্যসূত্রঃ তারিখঃ ১৩/৫/১৪১৭ হিজরী, ফাতাওয়া ও চিঠিপত্র, শাইখ সালহ বিন ফাওযান (রহঃ), সঊদী আরব এবং দাওয়াত ও ইলমের ব্যাপারে তিনটি বক্তব্য-শায়েখ ফাওযান)
তাবলীগ জামাত এর গ্রন্থ (ফাযায়েল আমল): তাবলীগ জামাত এর গ্রন্থটি বিদআতী উদাহরনে ভুরপুর। যেমনঃ ফাযাযয়লে আমালনামক বইটিতে অধিকংশ আলোচনাই শিরক-বিদআত, মিথ্যা কিচছা-কাহিনী, কুসংস্কার, সূত্রহীন, বানোয়াট জাল ও যঈফ হাদীছে পরিপূর্ণ। যেমন, (এক) তাবলীগ জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াস (রহঃ)-এর নির্দেশে মাওলানা যাকারিয়াহ্ ফাযায়েলে তাবলীগ বইটি লেখেন। ঐ বইয়ের ভূমিকায় তিনি বলেন, ইসলামী মুজাদ্দিদের এক উজ্জ্বল রত্ন এবং উলামা ও মাশায়েখদের এক চাকচিক্যময় মুক্তার নির্দেশ যে, তাবলীগে দ্বীনের প্রয়োজন সংক্ষিপ্তভাবে কতিপয় আয়াত ও হাদীস লিখে পেশ করি। আমার মত গুনাহগারের জন্য এরূপ ব্যক্তিদের সন্তুষ্টিই নাজাতের ওয়াসিলা বইটি পেশ করলাম। অথচ আল্লাহ তায়ালা বলেন, আপনি বলুন! আমার ছালাত, আমার কুরবাণী এবং আমার জীবন ও মরণ বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহরই জন্য।অর্থাৎ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য (আনআম ১৬২) এবার বুঝুন আল্লাহর সন্তুষ্টি বাদ দিয়ে মাওলানা যাকারিয়াহ্ ইলিয়াস সাহেবের সন্তুষ্টির অর্জন করতে চাইছে।
চিল্লা প্রথাঃ চল্লিশ দিনের জন্য নিজস্ব খরচে তাবলীগে বের হওয়াকে চিল্লাবলে।চিল্লা হলো তাবলীগীদের ভিত্তিমূলক রুকন। যে ব্যক্তি চিল্লায় বের হয়, তাকে তারা মহব্বত করে, সম্মান করে ও তার অপরাধসমূহ ক্ষমা করে। আর যারা বিরোধিতা করে তারা তাকে গ্রহণ করে না যদিও সে ইসলামের ফরয-ওয়াজিব সমূহ পালন করে।প্রচলিত তাবলীগের চিল্লা প্রথাকে শরীয়ত সিদ্ধ প্রমান করার জন্য তারা সূরা আলু ইমরানের ১১০ নং আয়াতে বর্নীত (أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ) এর অপব্যাখ্যা করে এটাকে চিল্লার পক্ষে কুরআনী নির্দেশ বলতে চেয়েছেন যা ইসলাম শরীয়ত সম্মত নয়।
অতএব, এসব বিদআতী চিল্লা প্রথা থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে এবং কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর সঠিক জ্ঞান অনুসন্ধানের মাধ্যমে আমরা আমাদের আমলকে সমৃদ্ধ করতে পারি। আল্লাহ আমাদের সেই তৌফিক দান করুন, আমীন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন